ঢাকাশনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাবিপ্রবির ৪ কর্মকর্তাকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০৮:২৪ এএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চার কর্মকর্তা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই কর্মকর্তাদের কর্মস্থল থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা।

পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া কর্মকর্তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ড এক্সটেনশন কর্মকর্তা (ফিশারিজ) রাব্বি শেখ, শেখ শাহ আসাদুল্লাহ সালেহীন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আলম সিকদার ও সেকশন কর্মকর্তা ইলিয়াস দেওয়ান। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির বিভিন্ন পদে ছিলেন। 

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হয়ে তাঁরা বিভিন্ন পদে চাকরি নিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে আসতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু তারপরও তারা অফিসে আসছিলেন। আজ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সম্মানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে নিয়ে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কর্মকর্তাকে আটক করে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি। তাদের প্রত্যেকের নামে থানায় আগের মামলা আছে। জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় যুক্ত থাকায় আজ নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

এর আগে, রোববার দিবাগত রাতে জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে রামিম হোসেন নামের এক ছাত্রকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া রামিম হোসেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শামসুজ্জোহা বলেন, রোববার রাতে একটি আবাসিক হলে রামিম হোসেনকে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আটক করে প্রশাসনকে জানান। রামিম হোসেনের হাতে অস্ত্র–সংবলিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখান। পরে ওই শিক্ষার্থী ছবিটি তার মর্মে স্বীকারও করেন এবং নিজে থেকেই তাকে পুলিশের হাতে দেওয়ার কথা জানান। এ ছাড়া দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কর্মকর্তা হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকা ও ছাত্রলীগের পদধারী হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এএএ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |